এস এম সুলতানের রেডিও ইন্টারভিউ: আমি আমার নিজের মাস্টারিকে কোনোদিন গ্রাহ্য করি না
[এস এম সুলতানের এই অডিও ইন্টারভিউটা কয়েকটা ফেসবুক পেইজে এভেইলেবল। অডিও থিকা ট্রান্সক্রিপ্ট করছেন হুসাইন হানিফ।]
আশরাফুল আলম: এস এম সুলতান দীর্ঘদিন ধরে চিত্রশিল্পের চর্চা করে আসছেন। তার সাথে শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। আপনার জন্ম কোথায়?
এস এম সুলতান: জন্ম নড়াইল, যশোর ডিস্ট্রিক্ট।
আলম: আপনার কি মনে পড়ে কত সালে আপনার জন্ম?
সুলতান: টুয়েন্টি ফোর।
আলম: আপনি ছোটবেলায় কেমন করে কীভাবে ছবি আঁকার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন?
সুলতান: এই চোখ দুটোই অপরাধী। সে সুন্দর জগতকে দেখতে চেয়েছিল চোখ ভরে।
আলম: কিন্তু সুন্দর জগতকে তো আমিও দেখি, আমি কিন্তু চিত্রশিল্পী না।
সুলতান: আপনার দেখার মূলে এবং দৃষ্টিতে আর চিত্রশিল্পীর দৃষ্টিতে অনেক ব্যবধান আছে।
আলম: ছোটবেলায় সেই দৃষ্টিটা জন্মেছিল আপনার চোখে?
সুলতান: চিত্রশিল্পী হয়েই জন্ম নিয়েছিলাম।
আলম: আপনি কি তখন থেকেই ছবি আঁকতেন, ছোটবেলা থেকেই?
সুলতান: ইট ওয়াজ মাই হবি ফ্রম মাই চাইল্ডহুড।
আলম: আচ্ছা তখন আপনি কীভাবে ছবি আঁকতেন?
সুলতান: বিশেষ করে আমার দেশের গাছপালা, জীবজন্তু, মানুষের ছবি।
আলম: ছবি আঁকতে গেলে যে ড্রয়িংয়ের জ্ঞান কিংবা…
সুলতান: এইটা আমি বিশ্বাস করি না যে ওই সময়ের ব্যাপারগুলো গাইড করে, প্রত্যেক শিশুর মধ্যে এইটা বাই-বার্থ। এর কোনো টিচার হয় না। শিল্পীর কোনো টিচার হওয়া উচিত না।
আলম: আচ্ছা, জন্মগতসূত্রে এটা আপনি পেয়েছেন।
সুলতান: আমি শুধু না, প্রত্যেকেই পেয়ে থাকে।
আলম: আপনি পরবর্তী পর্যায়ে আর কি কি ভাবে ছবি আঁকার চর্চা করেছিলেন? একাডেমিক শিক্ষাগত যে ব্যাপারটা সে সম্পর্কে…
সুলতান: সে সম্পর্কে পরবর্তীতে নলেজ হলো। আমি চান্স পেলাম। যে হয়তোবা বেটার এডুকেশন পাব জীবনে, গরীবের ছেলে। আর ইচ্ছা ছিল ওরকম। তো পেলাম, সেই সুযোগ পেলাম, ক্যালকাটা গভর্মেন্ট আর্ট কলেজে ভর্তি হবার। সেখান থেকে কিছুটা আমি শিখেছি যেটা খুব ফর্মালিটিজ, টু মাচ একুরেসি, পার্সপেক্টিভের নলেজ
আলম: এইসব ব্যাপার আপনি সেখানকার আর্ট কলেজ থেকে শেখেন। আপনি কত সালে পড়তেন সেখানে?
সুলতান: নাইনটিন ফোর্টি থ্রিতে।
আলম: ১৯৪৩ সালে পড়তেন। আপনি যখন একটা ছবি আঁকার জন্য কিংবা, মোটামুটিভাবে, আপনার সামগ্রিক ছবির কথাই বলছি আমি, যখন বিষয়বস্তু নির্বাচন করেন, এর পেছনে কোনো বিশেষ দৃষ্টিকোণ থাকে কিনা আপনার?
সুলতান: আমার মাস্টারি থাকে না। আমি আমার নিজের মাস্টারিকে কোনোদিন গ্রাহ্য করি না। সেটা থাকে, যদি আমার এমন কোনো ছবি আমার দেশের কাজে লাগে, কিংবা দেশভিত্তিক চিন্তাটা আমার মধ্যে… এইরূপ চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছি, জাস্ট আফটার লিবারেশন। আমার ঠিক, কোনো ছবির মাস্টারি এখন আর নেই। চেষ্টা করলেও হয়তোবা সেটা পারব না।
আলম: আপনি আপনার চিত্রে কী ধরণের জীবন এবং কোন দৃষ্টিকোণ থেকে সেই জীবনকে আপনি আপনার চিত্রশিল্পে বিধৃত করতে প্রয়াসী?
সুলতান: কোন দৃষ্টিকোণ থেকে? তাকে ডিমোরালাইজ দেখতে চাইনি, তাকে ডিজেনারেটেড দেখতে চাইনি, তাকে ব্যাংকরাপ্ট দেখতে চাইনি, তাকে অন্ধ হতে দেখতে চাইনি। তাকে দেখতে চেয়েছি বেটার হিউম্যান, বেটার হিউলিয়েশন, বেটার প্রসেডিওর, বেটার আন্ডারস্ট্যান্ডিং, বেটার হরাইজন। আমি সেইভাবে সেটাকে ভেবেছি। ওকে আমি গরীব ভাবিনি কোনোদিন। ওকে ভিক্ষাপাত্র হাতে কোনোদিন আমি দেখিনি। আর ও দুর্বলও নয়। সেইজন্য মাসলসগুলো মোটা করেছি। ওটা আমি চেয়েছি আমার মাতৃভূমিকে এরকম বলিষ্ঠ দেখতে। এবং এইটা তার আসল রূপ। যদি খেতে পায়, আর যদি খুব নিজের একটু সুস্থতা অনুভব করে, দেশের লোক বড় সাফার করছে, তাহলে ওরা এরকম মোটাতাজা হয়ে ওঠবে।
আলম: ছবি আঁকার জন্য যে রঙের দুষ্প্রাপ্যতা মাঝেমাঝে দেখা যায়, এটা কি ছবি আঁকার ক্ষেত্রে আপনি কোনো সমস্যা মনে করেন?
সুলতান: না, আমি মনে করি না। আমি ছোটবেলা থেকেই, আগে তো ফুল ডলে ছবি আঁকা শিখেছি। বিভিন্ন রঙের ফুল চেপে কাগজের ওপর রঙ দিতাম। তারপর গ্রাম থেকে নিজেই রঙ পেটি তৈরি করতে শুরু করলাম। এই পেউডি, পশুকালি, রেড অক্সাইড, থিক অক্সাইড, কপার বার্নিশ.. বাটলেই কালার হয়ে যাচ্ছে। ইটস ইজি।
আলম: কিন্তু টিউবে যে রঙ বিক্রি হয়, আর আপনার তৈরি করা যে রঙ, এই দুটো রঙ দিয়ে ছবি আঁকার পর কি আপনার মনে হয় যে কোনো পার্থক্য দেখা দিতে পারে দুটোর মধ্যে?
সুলতান: নাহ।
আলম: একই ছবি আঁকলেন আর কি। বিদেশী টিউব থেকে রঙ নিয়ে আর আপনার তৈরি করা রঙ নিয়ে।
সুলতান: ওরা যেভাবে ওদের কালার-কেমিস্ট কালারকে ফাইন করেছে শুধু, সফট করেছে। এটা একটু মোটা মোটা থাকবে অতটা ফাইন হবে না, এতটুকই। কিন্তু কালার চেইঞ্জ হবে না।
আলম: এজন্য কি শিল্পীর কোনো ক্ষতি হয়, প্রকাশে?
সুলতান: না! প্রকাশের ক্ষতি? না! বরঞ্চ আমাদের শিল্পীদের ইমাজিনেশন এত ছোট হয়ে গেছে, এত দুর্বল যে, বেশি পয়সার রঙ তো কিনতে পারবে না। একটুখানি টিউবের দাম পঞ্চাশ টাকা। আরও পাঁচটা টিউব কিনতে গেলে ওর প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে। ও আঁকবে তো আপনার এই ছোট্ট টেবিলটার সাইজে একটা ছবি আঁকতে পারে। কিংবা বড় আঁকলে পাঁচশ টাকা খরচ হয়ে যাবে। অতএব সেই ছবিটা বিক্রি করবে, তার পেট চলবে, তার পরে সে কি করে প্রাণ বাঁচাবে—এই হয়েছে তার চিন্তা। সে অতটুকুনের বেশি তো তার ইমাজিনেশন ব্রাশটা তো ছুটছে না আগে। আমি যে লাইফ সাইজের চাইতে বড় ফিগার এঁকে বোঝাচ্ছি যে, তুমি আরেকটু বড় হয়ে ট্রাই করো, বড় করে ট্রাই করো। ফরাসিরা যেমন করতেন, ওয়াল-সাইজ পেইন্টিং করতেন। কিংবা [স্পষ্টভাবে শোনা যায় নাই] … যেমন [স্পষ্টভাবে শোনা যায় নাই] … বসে ছবি আঁকতেন। [স্পষ্টভাবে শোনা যায় নাই] … যেমন ব্রাশ ছুঁটত তার, মাইকেল এঞ্জেলোর এটিচুড যেটা, ওই ইন্টারন্যাশনাল ব্রিড যে, এইটা না হলে কিন্তু প্রাণ আনন্দ পাবে না। বড় ছবি আঁকবার অভ্যাস করতে হবে। শিল্পীদের আমি বলছি যে ওরা ছোট ছবি এঁকে কি আনন্দ পায়? একটা চিলের ছবি, যদি মাসকুলার বিরাট বড় হয়, উঁচু লম্বা হয়, আমার চাইতে বিশ গুণ হলে আরও ভালো দেখাবে। বিরাট হতে হবে। বিরাট ক্যানভাসারের। পিন্টারেট ড্রয়িং আপনি হিউম্যান প্রফেশন… চারগুণ বড় ট্রাই করি। করলে দেখা যায়, আছে সাইকোলজিক্যালি এটা এত সুন্দর হয় যে আপনাকে বুঝাতে, রাশিয়ান ছবিগুলো, মুসোলিনি, লেনিনের ছবিগুলো এত বড় করা হয়।
আলম: এটা একটা বিরাট ব্যাপার, বিশাল ব্যাপার। আপনি ফিগার বড় করতে বলছেন, যেমন ধরেন আমি একটা ছোট্ট কাগজের মধ্যে অর্থাৎ ক্যানভাসে আমি একটা ফিগার তৈরি করলাম। সেটা তো আমি অনেক বড় করে তৈরি করতে পারি। কিন্তু আপনি বলতে চাচ্ছেন যে ক্যানভাসটাও বড় হওয়া দরকার।
সুলতান: ক্যানভাস, এবং এত পরিমাণ রঙ পাবেন না বলে আপনি সাহস করছেন না।
আলম: আচ্ছা, এটা একটা প্রবলেম।
সুলতান: বিশাল প্রবলেম। আমাদের মনটা ছোট হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। শিল্পীরা ইমাজিনেশন পাচ্ছে না। তাদের বিরাট ছবি না আঁকলে তাদের মনে ইমাজিনেশন… এই যে আমার শরতের সকাল রেখেছি, এই ছবিটা দেখলে মনে হয় যে, না আমি একটু এগিয়ে যাই, ওর ভেতরে যাই। একটু বড় করে যদি আঁকা হতো। তাহলে আপনি বায়ু পেতেন ওর মধ্যে, ক্লাইমেট পেতেন।
আলম: এইরকম পারসপেক্টিভে আপনি ছবি বড় করার কথা বলছেন।
সুলতান: এই জন্য বলছি। বিশেষ করে আমাদের এই সময়ে বড় করে দেখা দরকার আছে।
আলম: আচ্ছা এটা হচ্ছে একটা সময়ের মধ্যে। হয়তো পঞ্চাশ কিংবা একশ বছর পর, দুশো বছর পর, এই দৃষ্টিকোণটা হয়তো ছবি থেকে সরেও যেতে পারে।
সুলতান: সরে যেতে পারে, সেটা প্রয়োজনের তাগিতে। প্রয়োজনের তাগিদে বড় করা উচিত। যে দেখেন না আমি বড় করছি, যে তোমার একটুখানি চাপে লাঙলটা মাটির নিচে বেশি যাচ্ছে না কিন্তু। অতএব আমি মাসলস নিয়ে, এতটুকুন চাপে কতটুকুন, দুই ইঞ্চি মাটি খুড়ছে মোটে, যে তোমার মাসলস হেভি হওয়ার দরকার আছে, যে প্রকৃতির সঙ্গে তোমার যুদ্ধ করতে হচ্ছে, এইভাবে। জোরে চাপো, যেটা দু ফুট নিচে যায়। ষাড়টা ওরকম বলবান হওয়ার দরকার আছে। না হলে ওই ছবিটা দেখে আমার মনটাও কিন্তু ওরকম বড় হয়ে গেল। আমি যেন দেখলাম আমি সেই কৃষক, আমার এত বল যে আমি সেই লাঙল ধরে, আমার গরুগুলো খুব বিরাট। আমি খুব কাজ করে চলেছি। এইটা হলো একটা পাবলিসিটি, পোস্ট-লাইট মোটিভ, যা একটা ন্যাশনাল সার্ভিস দিতে গেলে, একজন শিল্পীকে কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়। তার মাস্টারি থেকে দূরে যেতে হয়। তার ফেইম থেকে একটু সরে দাঁড়াতে হয়। তারপর জটিলতা থেকে দূরে যেতে হয়। সাধারণের বোধগম্য যাতে হয়।
আলম: আপনার ছবি আঁকার ব্যাপারে, সামগ্রিক দৃষ্টিকোণটা হচ্ছে এই, আপনি এতক্ষণ যেই কথাগুলি বললেন।
সুলতান: জ্বি, আমার একটুক মনটা। আমি এখনও মাস্টারি করেই কি আঁকি না, আঁকি, আর বোধহয় এক্সিবিউশন করতে ইচ্ছাও হয় না। কিন্তু আমার মাইন্ডটা ছিল যে শিল্পী শুধু চিত্রশিল্পী হয়েই মাস্টারি করার কথা না।
আলম: প্রসঙ্গত একটা কথা জিগ্যেস করছি, আপনার এই এক্সিবিউশনটা কত সালে হয়ে ছিল যেন? কিছুদিন আগে যেটা হলো।
সুলতান: সেভেনটি সিক্স-এ। সেভেনটি সিক্স বা সেভেনটি সেভেনে।
আলম: আচ্ছা, সেভেনটি সিক্স কিংবা সেভেনটি সেভেনে। আচ্ছা এর আগে কখনও এক্সিবিশন হয়েছে?
সুলতান: বাংলাদেশে হয় নি।
আলম: বাইরে কোথায় হয়েছে?
সুলতান: সেভেনটি-এ এক্সিবিশন হয়েছে আমার ইন্ডিয়াতে, সিমলাতে। সিমলাতে হলো আমার ফার্স্ট এক্সিবিশন, যখন সিমলা কনফারেন্স হচ্ছিল। সলো এক্সিবিউশন।
আলম: আপনি কি বিদেশে কোথাও আপনার চিত্রশিল্পের প্রদর্শনী হয়েছে?
সুলতান: আমেরিকান সিটিতে, পাঁচটি সিটিতে হয়েছে, শিকাগোতে, বোস্টনে, নিউ ইয়র্কে; লন্ডনে হয়েছে চারবার।
আলম: আপনি যখন বিদেশে ছিলেন, সে সময়ে কোন কোন শিল্পীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ব্যক্তিগত পর্যায়ে।
সুলতান: [স্পষ্টভাবে শোনা যায় নাই] … গোলাম কিবরিয়া সাহেব…
আলম: ছবি আঁকার বাইরে আপনি আর কী করেন?
সুলতান: আমি আর কিছুই করি না, ব্যস এই ছেলেপেলে পড়াই, স্কুল মাস্টারি করে জীবিকা নির্বাহ করি।
আলম: সেটা কি নড়াইলে বলছেন, যশোরে?
সুলতান: নড়াইলে, এবার যশোরে আরম্ভ করছি। আমি জীবিকা অর্জন করছি, যশোরে পড়াই, এটাও কিন্তু না। ফ্রি অফ কস্ট আমি পড়াই। এমনকি রঙ ব্রাশ কাগজ আমি নিজে তৈরি করে ওদের দিই। কাগজ এবং অন্য জিনিস তৈরি করতে পারি না। রঙ তৈরি করে ওদের দিই। কাগজ কিনে দেই।
আলম: আচ্ছা আপনি তো মাঝেমধ্যে বাঁশি নিয়ে ঘোরেন, বাঁশি আপনি …
সুলতান: আপনিই তো বাজে বাঁশি, আমি মাত্র সহায় হই।
আলম: আচ্ছা, বাঁশির সহায় আপনি, আমার তো মনে হয় বাঁশিই আপনার সহায়। আপনার যে নিঃসঙ্গতা…
সুলতান: আমি মরে গেলে বাঁশি পড়ে থাকবে। ও আমার সহায় হয় কি করে! আমি মরে গেলে যখন ও পড়ে থাকে তখন…
আলম: তাহলে বাঁশিরও তো আপনি সহায় না। তাহলে বাঁশি যখন পড়ে থাকবে তখন আপনি বাঁশিরও সহায় না।
সুলতান: না ও যদি ছিদ্র না করা হতো ও যদি না বাজত তাহলে ও সহায় হত।
[এর পরে কথা কেটে গেছে, অডিওতে।]
সুলতান: ইতিহাসকে বিশ্বাস করি না। যেইটা জনতাকে টর্চার করা হয়, তাদের ওপর মেশিন থ্রো করা হয়, এমিউনেশন থ্রো করা হয়। এইসব যা হয়ে গেছে ইতিহাসে লিখতে দিও। ভিয়েতনামও মনে থাকবে না, কোরিয়াও মনে থাকবে না, ও ইস্ট এশিয়ান উত্থান কোনদিন ইতিহাস মনে করবে না।
আলম: আপনি কি শুধু ভবিষ্যতের কথাই ভাবেন আপনার চিত্রশিল্পে?
সুলতান: না আমার, ওসব তৈরি হয় নি। শিশুদের যে ব্রেইন, ওটা কিন্তু ওইসব ভাবনার জন্য তৈরি হয় নি। ওরা কোনোদিন পড়বে না ওসব। বলবে কি যে বেরসিকের মত কি যেন করছে, মানে নেই।
আলম: এই জন্য আপনি ওই ছবিগুলো করেন নি?
সুলতান: এরা কোনোদিন করবেও না। মনে থাকবে না।
[ইন্টারভিউ এইখানে শেষ হয় নাই, কিন্তু এর পরের কথাগুলা যেই অডিও আমরা পাইছি, সেইখানে ক্লিয়ারলি শোনা যায় নাই।]
বাছবিচার
Latest posts by বাছবিচার (see all)
- (বাংলা-ক্লাসিক) বিশ্বনবী – গোলাম মোস্তফা [শর্ট ভার্সন।] পার্ট ৫ - মার্চ 17, 2024
- বাংলা প্রচলিত হবে যে সময় শিক্ষকরা প্রথম প্রথম একটু ইনকমপিটেনটলি (incompetently) কিন্তু পারসিসটেনটলি (persistently) বাংলায় বলা অভ্যাস করবেন (১৯৮৫) – আবদুর রাজ্জাক - ফেব্রুয়ারি 26, 2024
- ভাষার ক্ষেত্রে গোঁড়ামি বা ছুৎমার্গের কোন স্থান নেই – মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ - ফেব্রুয়ারি 21, 2024