Main menu

এডিটোরিয়াল: পয়লা বৈশাখ, ১৪২৯

১.
“Traditions could be invented, drawing on a supposed history and legitimizing authority.”
– Romila Thapar

ঢাকার কালচারাল মিডল-ক্লাস’রা কয়দিন আগেও যেইভাবে পান্তা-ইলিশ খাইয়া পহেলা বৈশাখের দিন ‘হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্য’ পালন করতো, যেইটা শুরু হইছিল ১৯৮০’র দিকে। চৈত্র-সংক্রান্তির মেলা তো অনেক দিন থিকাই দেখতেছি আমরা, বা অন্য অনেক রিচুয়ালগুলাও ছিল, আছেও।

যদিও বলা হয়, ৭ম শতকে রাজা শশাঙ্কের আমলে এই সন গোণা শুরু হইছিল, কিন্তু দিল্লীর রাজা আকবর ১৫৮৪ সালে খাজনা আদায়ের লাইগা যে এই জিনিস শুরু করছিলেন, এইটা মোটামুটি কনফার্ম বইলা দাবি করেন, হিস্টোরিয়ান’রা।

এখনো ট্রাডিশনাল ব্যবসায়ীরা তাদের বাকির খাতা ক্লোজ করেন, দেনা-পাওনার হিসাব মিলান। ইয়ার এন্ডিংয়ের কাজকাম শেষ হয়। মিস্টি খাওয়া-খাওয়ি হইতো, হয়। তো, অকেশন’টা ছিল – খাজনা-আদায়, বাকি-আদায় করা (এইখানে ইকোনমি’র একটা আলাপও আছে, আমি মনে করি, ব্যবসা জিনিস’টারে যেমনে বাকি-নগদের বেসিসে আমরা দেখি, ঘটনা’টা এইরকম ছিল না, এই অঞ্চলে… যেইখানে ব্যাংকিং সিস্টেমটা অন্যরকমভাবে অপারেট করতো)।

আর এর ভিতর দিয়া জমি’র অধিকার এক বছরের লাইগা ফিরা পাওয়ার, বাকি’তে ব্যবসা করতে পারার রিলেশনটারে রিনিউ করার একটা ঘটনা হয়া উঠতো। এইসব কারণে অনেক লোক জমা হইতো একটা জায়গায়; গ্রামে-গঞ্জে মেলাটাও ছিল চৈত্র-সংক্রান্তির দিনে… হাটে, মোকামগুলাতে লোকজন জড়ো হইতো বইলা।

তো, বৈশাখ মাসে যে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় না এবং জাটকা ধরা’টা ঠিক না – এই কথা বলার আগ পর্যন্ত ‘হাজার বছরের ঘটনা’ হয়া ছিল বা হইতে নিছিল, এই ‘পান্তা-ইলিশ’। (এখনো আছে মনেহয়।) এইটা যতোটা না ইতিহাস, তার চাইতে বেশি একটা ‘ইতিহাসের ধারণা’, এবং ঢাকা শহরের কালচারাল মিডল-ক্লাসের অথরিটিতে এইটা এস্টাবলিশড হইতেছিল।

তো, ব্যাপারটা এইরকম না যে, পহেলা বৈশাখ বইলা কিছু নাই, বা এইরকম কিছু পালন করা যাবে না। বরং এইটারে একটা ন্যাশনালিস্ট জায়গা থিকা ‘হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্য’ বানাইতে চাওয়াটা হইতেছে ঘটনা। ‘সার্বজনীন’ ‘অসাম্প্রদায়িক’ এই টার্মগুলাও রিসেন্ট ফেনোমেনা। ১৯৬০-এর দিকে ছায়ানটের গান আর ১৯৮৯-এ চারুকলার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র ভিতর দিয়া এই ‘ধারণাগুলা’ চালু করা হইছে।

এখন এই ‘ঐতিহ্য’ আমাদের মিডল-ক্লাস আরবান লাইফে এমন একটা কমোডিটি (commodity)’তে পরিণত হইছে যেইটার উপরে বেইজ কইরা ব্যবসা-বাণিজ্য, মার্কেট এক্টিভিটি চালানো যাইতেছে। (এইটাও বাজে জিনিস না, কিন্তু) আমাদের আরবান লাইফে পহেলা বৈশাখের তেমন কোন রিলিভেন্স যেহেতু নাই, একটা ‘ঐতিহ্য’ বানায়া নিতে চাইতেছি আমরা ।

এই বানায়া নেয়াটা অবশ্যই বাজে কিছু না, কিন্তু কিভাবে বানাইতেছি, কোন জায়গা থিকা বানাইতেছি, সেইটা খেয়াল রাখাটা দরকার। কারণ, লাইফের সাথে ডিসকানেক্টেট কোনকিছু ‘ঐতিহ্য’ হিসাবে বেশিদিন টিইকা থাকতে পারে না। এই ‘পহেলা বৈশাখ’ও মার্কেট ইকোনমি’র কারণে হয়তো কন্টিনিউ হইতে থাকবে, বা অন্য কোনকিছুতেও কনর্ভাট হইতে থাকবে, কারণ কিছু ‘ন্যাশনাল কালচার’ আমাদের দরকার, ‘রিকশা পেইন্টিংয়ের’ মতো।…

কিন্তু যেইটারে আমরা কালচার বানায়া নিতেছি, সেইটা যতোটা না ‘ঐতিহাসিক’ কোন জিনিস, তার চাইতে অনেক বেশি ‘ইতিহাস-ধারণা’ এবং ‘অথরিটি’র চাপায়া দেয়া একটা ঘটনাও হইতে পারে, অনেক সময়।

/২০২১

২.
যে কোন কালচারাল ইভেন্ট আসলে কখনোই নন-পলিটিক্যাল জিনিস না।

কিন্তু পয়লা বৈশাখের দিনে সকালবেলায় ছায়ানটের গান-গাওয়ার ঘটনাটারে যেমনে পাকিস্তান আমলে আইয়ুব-সরকারের বিরোধিতা বা পতন ঘটানোর জিনিস হিসাবে হাইলাইট করা হয়, এইটা ঠিক না আসলে। অই সময়ের সরকার হয়তো একটু অপছন্দ করছিল, মতের মিল হয় নাই; এর বেশি কিছু এইখানে থাকার কথা না। কিন্তু পরে ব্যাপারটারে ফুলায়া-ফাঁপায়া, সিগনিফিকেন্ট কইরা তুলতে চাওয়া হইছে।

একইভাবে ১৯৮৯ সাল (?) থিকা শুরু হওয়া ঢাকার চারুকলার “মঙ্গল শোভাযাত্রা”র শুরুর দিকে “স্বৈরাচার-বিরোধী” একটা ক্লেইম ছিল। পরে যেইটা “সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী” হইছে। মানে, আমরা খালি আমোদ-ফূর্তিই করতেছি না, একটা পলিটিক্যাল অ্যাক্ট করতেছি – এই জিনিসটা যতোটা জোশ দিতে পারে, তারে বাদ দিলে এর সিগনিফিকেন্সটা কইমা আসে তো কিছুটা।

আমার কথা হইতেছে, এই কানেকশনগুলা আছে কি নাই – এইটার চাইতে পিপল এর লগে কেমনে কানেক্টেড হইতেছে, সেইটা খেয়াল করাটা বেটার হইতে পারে।

আমি দেখি যে, এইরকম চৈত্র-সংক্রান্তির মেলা (৩১শে চৈত্র), “বান্নি”, হালখাতা, নানান রকমের সেলিব্রেশন ছিল বা থাকার কথাই। তবে অইগুলা ছিল “গ্রামের মেলা” 🙂 কিন্তু ঢাকা অ্যাজ অ্যা মেট্রোপলিটন-সিটি, রাজধানী, সেলিব্রেশনের জায়গাটা মিসিংই ছিল এইখানে। মেইনলি অই কালচারাল নিড’রে স্যাটিসফাই করতে গিয়া ঢাকা-ভারসিটির ক্যাম্পাস বেইজড এই প্রোগ্রামগুলা শুরু হইছে, (ষাট-সত্তরের দশকের ইনিশিয়েটড হইলেও) আশির দশকে আইসা। বাংলাদেশের ‘শিক্ষিত’ মিডল-ক্লাসের কোন কালচারাল ইভেন্ট অইভাবে নাই।

রমনা-টিএসসি-চারুকলার পয়লা বৈশাখ হইতেছে শহুরে, শিক্ষিত, মিডল-ক্লাসের কালচারাল ইভেন্ট।*

যার ফলে দেখবেন এই ‘পহেলা বৈশাখ’ বা ‘বর্ষবরণ’ টাইপের ‘উৎসব’গুলা অন্য সব ভারসিটির ক্যাম্পাস-বেইজড ঘটনাই মোস্টলি। স্কুল-কলেজের ঘটনাও। এবং শহরের। শহরের হইলেও পাড়া-মহল্লা পর্যন্ত এখনো অইভাবে যাইতে পারে নাই। যদিও ধানমন্ডি, বারিধারা, উত্তরাতেও পয়লা বৈশাখের প্রোগ্রাম এখন হয়। তারপরও সেন্টারের ক্লেইম এখনো চারুকলা আর ঢাকা ভারসিটিতেই আছে। কিন্তু এর দাপট কইমা আসতেছে।

একটা সময়ের আইয়ুব-বিরোধী, এরশাদ-বিরোধী কালচারাল ইভেন্ট এখন পলিটিক্যালি বাকশালি-ন্যারেটিভের বাইরে যাইতে পারেতেছে না। জালিম এর দুশমন না, বরং জুলুমের তাবেদারিই করতেছে। যার ফলে বাতিল হয়া উঠতেছে কালচারালি। যদি এই ধারাতেই থাকে, ধীরে ধীরে এন্টি-পিপল ঘটনাই হয়া উঠার কথা আরো (যেইটা আগে ছিল না বইলাই আমার ধারণা)।

*কিন্তু তাই বইলা একটা ক্লাসের ঘটনা হয়াই থাকে নাই। ঢাকায় এখনকার ডেড-লক ট্রাফিক জ্যাম শুরু হওয়ার আগে সাইকেল-চালানোর ঘটনা দিয়া এইটা টের পাইবেন কিছুটা। একদল শিক্ষিত, শৌখিন, অভিজাত লোকজন সাইকেল চালানো শুরু করছিলেন। দামি দামি সাইকেল, হেলমেট, ড্রেস-আপ, লাইট, গিয়ার লাগায়া। অইগুলা দেখলে বাস-সিএনজি-প্রাইভেটকার সাইড দিতো, উনারাও শান্তি মতো চালাইতে পারতেন। তো, সাইকেল জিনিসটা তো ভালো। উনাদের দেখাদেখি গরিব লোকজনও কিছু সাইকেল নিয়া রাস্তায় নামছিল। কিন্তু টিকতে পারেন নাই। বাস-সিএনজি তো দূরের কথা রিকশাই চাপাইতে চাপাইতে রাস্তা থিকা ফালায়া দিতো।… মানে, পয়লা বৈশাখ শহুরে হয়া উঠাতে গেরামের মানুশ-জনও এইটা নতুন ফর্মে ফলো করতে পারতেছিল, আনটিল রিসেন্ট পাস্ট।

১২ই এপ্রিল, ২০২২

৩.
“অ-সাম্প্রদায়িকতা হইতেছে বাকশালি-বাম বাটপারদের শেষ ভরসা”
#স্যামুয়েলজনসন

বাকশালের চাইতে যখন ‘সাম্প্রদায়িকতা’রে বড় দুশমন মনে হবে, মনে করবেন আপনি বাম-বাটপারদের খপ্পরে পড়ছেন।

‘সাম্প্রদায়িকতা’র নাম দিয়া বাকশালের লোকজন যে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল কইরা আসতেছে অনেক দিন থিকা, সেইটা আপনার চোখে পড়বে না।

‘সাম্প্রদায়িকতা’ বইলা যদি কিছু থাকে বাংলাদেশে, বাকশাল হইতেছে এর ব্রিডিং-গ্রাউন্ড।

১৩ই এপ্রিল, ২০২২

৪.
“এসো হে খাজনা ও টাকা, এসো হে সুখ” 

“তোমরা জেনে খুব অবাক হবে যে” পয়লা বৈশাখের গান রঠা ছাড়া আর তেমন কেউ লেখেন নাই!

তারপরে যদি তোমরা খেয়াল করো তাইলে দেখতে পাবা যে, চৈত্র-বৈশাখে গেরামে ও গঞ্জে ‘উৎসব’ করার মতো কিছু ছিল না, বরং অই সময়টাতে ধান-চালের অভাবই থাকতো একটা সময়, কম-খাইয়াই বাঁইচা থাকার কথা, হিস্ট্রিক্যালি। [শাক ও ভর্তা খাওয়ার ঘটনা পাইবেন কিছু।]

মঙ্গা জিনিসটাও সেপ্টেম্বর-নভেম্বরের পাশাপাশি মার্চ-এপ্রিলের সময়টাতেও ছিল একটা সময়। (হাউএভার, এখন ঘটনাগুলা একইরকম নাই।) মানে, এই সময়টাতে, ‘হাজার বছর ধইরা’ সেলিব্রেশনের কোন অকেশন কেমনে থাকার কথা যে, লোকজন গান গাইবো, মৌজ-মাস্তি করবো? মানে, হোয়াই?

যে কোন কালচারাল জিনিস, সোসাইটির ইকনোমিকসের বাইরের ঘটনা তো না, কখনোই!

ও, জমিদার খাজনা আদায় করতো তো! (বৈশাখ মাস ছিল সেইটা?) মহাজনের পাওনা মিটানোর সময় ছিল তো এইটা! [এইটা মোটামুটি শিওর।]

তো, ঢোল বাজায়া খাজনা আদায়ের, ‘পাওনা’ আদায়ের, জমি-দখলের গান জমিদারের পোলাদেরই তো লেখার কথা! আর সেই ট্রাডিশনরে এখন মানতে পারার ভিতর দিয়া নিজেদেরকে জমিদারের নাতি-পুতিও মনে হওয়ার কথা না আমাদের! 🙂

১৪ই এপ্রিল, ২০২২

৫.
বৈশাখের গান

গান: আল্লাহ মেগ দে
সিঙ্গার: রুনা লায়লা
লিরিসিস্ট: জালালউদ্দিন*

হালের গরু বাইন্ধা গিরস্ত মরে কাইন্দা
হাওয়ার পানে ছডোফডো নারী নাঙটি করে

[গানটার তো অনেক ভার্সন পাওয়া যায়। মাইনর চেইঞ্জ সবগুলা ভার্সনেই আছে। অমর পালের একটা ভার্সনে লিরিসিস্ট হিসাবে জালালউদ্দিনের নাম দেখা যায়।]


৬.

“আওয়ামী আধিপত্যের বিরোধীতা করতে গিয়ে খোদ সেই সব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের বিরোধীতা করার অর্থ হল সেই সব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে আরো বেশি আওয়ামী ক্ষমতার উপর নির্ভরশীলতার দিকে ঠেলে দেয়া।” – Kallol Mustafa

বাকশালি ক্ষমতা-কাঠামোর বাইরে গিয়া এই ধরণের “সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের” যে কোন অস্তিত্ব নাই, কোন পলিটিক্যাল মিনিং নাই আর, এইটা খেয়াল করাটা আসলে দরকার। এইগুলা হইতেছে বাকশালের কালচারাল-উইং, প্রপাগান্ডা-মেশিন। [কোন একটা কালচারে সাবস্ক্রাইব করাটা একটা দেশের/সমাজের মানুশের কাজ না, কালচারাল-ইভেন্টের বরং কাজ হইতেছে মানুশের কাছাকাছি হইতে পারা। যেইটা শুরুতে মিডল-ক্লাসের ঘটনা হইলেও এখন আর অই পারপাসটাও সার্ভ করতে পারতেছে না, পলিটিক্যাল পুতুল-নাচের বাইরে যাইতে পারতেছে না।…]

এখন এরা বাকশালের লেজ নাকি শিং? – এই তর্ক তো হইতেই পারে, কিন্তু এরা বাকশালি ক্ষমতা-কাঠামোর ইন্ট্রিগ্রাল পার্ট একটা – এইটা রিকগনাইজ করতে পারার পরেই শুরু হইতে পারে সেইটা।

১৫ই এপ্রিল, ২০২২

৭.
কালচার ও পলিটিক্স ১

কালচার:
নির্মল কর, মঙ্গল কর, মলিন মর্ম মুছায়ে

পলিটিক্স:
কলোনিয়াল কর, বাকশালি কর, বিএনপি-জামাত গুম করে

– কালচার ও পলিটিক্স ২ –

কালচার:
তুমি কে? আমি?
বাঙালি, বাঙালি।

পলিটিক্স:
তুুমি কে? আমি কে?
বাকশালি, বাকশালি।

কালচার ও পলিটিক্স ৩

নোবডি:
বাঙালি জাতীয়তাবাদ হইতেছে জমিদারি সংস্কৃতি

সিম্পলি নোবডি:
“এই দেশটা মুজিবের”

The following two tabs change content below.
Avatar photo
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →