Main menu

একটা নভেলের জন্ম একটা কবিতা দিয়া শুরু হয় – গুন্টার গ্রাস

This entry is part 27 of 27 in the series ইন্টারভিউ সিরিজ

এই ইন্টারভিউটা যখন আমি অনুবাদ করতে বসি তখন গুন্টার গ্রাস সম্বন্ধে আমার জ্ঞান বিসিএস প্রিলিমিনারি পর্যন্ত। দ্য টিন ড্রাম বইয়ের লেখক কে? গুন্টার গ্রাস। এরপর আর কোনো কিছু না জেনেই যখন বইটা পড়া শুরু করলাম, প্রথম চাপ্টারে পুলিশের ধাওয়া থেকে পালাইতে আর্সোনিস্ট কালিয়াইচেক যখন আনা ব্রনস্কির স্কার্টের নিচে আশ্রয় নিলো, তখন অদ্ভুত আনন্দে মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগলো, গ্রাস কি মার্কেজ পড়ে এ জিনিস লেখতে বসছিলো? প্যারাগ্রাফসম সেন্টেন্স, এবজার্ড হিউমার, ফুলানো ফাঁপানো লিরিকাল প্রোজ, সঙ্গে সকল ট্যাবুকে তাচ্ছিল্য করা একটা ইঁচড়ে পাকা হাসি। দ্য টিন ড্রাম পড়ে যে আমার মার্কেজের কথা মনে পড়ে গেছে তার কারণ ম্যাজিক রিয়ালিজম না। গ্রাসকে যে ‘ইউরোপিয়ান ম্যাজিক রিয়ালিজম’-এর এক প্রধান হোতা হিসাবে সাব্যস্ত করা হয় তা জানতে আমার আরো সময় লেগে গেছে। (বাই দ্য ওয়ে মার্কেজ মার্কেজ হওয়ার আগে গ্রাস গ্রাস হয়ে গেছেন। দ্য টিন ড্রাম এর প্রকাশকাল ১৯৫৯-এ, সলিটিউড ১৯৬৭-এ।) স্কার্টের নিচে ঢুকে পড়ার ঘটনাকে যে আমি ‘মার্কেজ’ বলে আইডেন্টিফাই করছি তার কারণ ছিলো একে অতীত বর্ণনার এক বিশেষ টেকনিক হিসাবে দেখা, যে টেকনিক অতীতকে মহিমান্বিতভাবে বর্ণনা করার যে চল আছে তাকে ইউনিকভাবে ডাইভার্ট করতে পারছে, যে ধরণের ন্যারেটিভ আমরা দেখতে পাই রুশদি ও বুলগাকভে।

এদের মধ্যে আমরা যা কমন পাই তা হলো, ‘অফিশিয়াল হিস্টোরি’ বা জনরা হিসাবেই ‘হিস্টোরি’র এক ধরণের প্যারোডি তৈরি করা, যেই প্যারোডি ইতিহাসের প্রচ্ছন্ন বিষয়গুলি নিয়া কোনো রাখ ঢাক ছাড়াই কথা বলতে পারে। গ্রাস তার এই ইন্টারভিউতে জানাচ্ছেন, পোস্ট-ওয়ার জার্মান সোসাইটিতে নাৎসি পিরিয়ড নিয়া আলাপ করা এক ধরণের ট্যাবু ছিলো, যে ট্যাবু পরবর্তীতে নানা ধরণের ভ্রান্ত ধারণার জন্ম দিছে। (এ ক্ষেত্রে আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্য ও সেগুলা যেধরণের একপাক্ষিক ও সীমিত এক্সপেরিয়েন্স অফার করে তার কথা চিন্তা করতে পারি।) যুদ্ধের পর গ্রুপ-৪৭ নামে রাইটার ক্রিটিকদের যে গ্রুপ তৈরি হয়, এবং গ্রাস যে গ্রুপের অংশ ছিলেন, তাদের প্রধান কাজ ছিলো এমন সাহিত্য ভাষা উদ্ভাবন করা যা ওই ট্যাবুকে ভাঙতে পারে। এভাবে চিন্তা করলে গ্রাসের সাহিত্যকে এক ধরণের ‘অথেনটিক এক্সপেরিয়েন্স’ বা ‘কলম তুলে নেওয়া’ ধরণের সাহিত্য হিসাবেও দেখা যাইতে পারে। গ্রাসের যাপিত জীবন রিডারকে সে ধরণের এক রিডিং-এ যাওয়ার দিকেই প্ররোচিত করে। ভার্সাই চুক্তির ক্ষত বহন করা জার্মানিতে বড় হওয়া, টিএনএইজ থাকতে নাৎসিদের প্রতি সমর্থন, জার্মান আর্মিতে সার্ভ করা, যুদ্ধের পর ডুসেলডর্ফ ও বার্লিনে স্কাল্পটিং ও পেইন্টিং শেখা, ষাটের দশকে সোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে ক্যাম্পেইন করা, এনভাইরনমেন্টাল ইস্যু নিয়া তার কর্নসার্ন, সত্তুর ও আশির দশকে ইন্ডিয়া ট্রাভেল, জার্মান রি-ইউনিফিকেশনের বিরোধিতা — এসব বায়োগ্রাফিকাল ডিটেইল তার কাজে কেবল পার্সোনাল ইন্টেগ্রিটি যুক্ত করে তা না, ব্যক্তিকে সমষ্টির সঙ্গেও একাকার করে দেয়। গ্রাসকে মার্কেজের সঙ্গে তুলনা করার আরেকটা সুবিধা হলো, শুধু সাহিত্যিক হিসাবেই না, যার যার জমিনে তারা যে কালচারাল আইকনে পরিণত হইছেন, তাও মাথায় রাখা।

কিন্তু কেবল বায়োগ্রাফি ও প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কর্মকান্ড নির্ভর ইন্টারপ্রিটেশন সমস্যাজনক হতে পারে। প্রথমত এইটা ইন্টারপ্রিটেশনের স্কোপকে কেবল একধরণের ‘বাস্তবিকতা’র মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলতে পারে, দ্বিতীয়ত এরকম ইন্টারপ্রিটেশন গ্রাসের কাজকে তার রাজনৈতিক পজিশন, সোশাল এক্টিভিজম এবং তিনি যে পাবলিক পারসোনা তৈরি করছেন শুধু তার জাস্টিফিকেশনে ব্যবহার করতে পারে। এ ধরণের সীমাবদ্ধতা উতরানোর একটা উপায় হলো, আর্টকে সব কিছুর উপরে একটা ‘এস্থেটিক কনস্ট্রাক্ট’ হিসাবে দেখা। ইন্টারভিউতে গ্রাস তার এস্থেটিক কনসার্নের কথা নানান ভাবে জানান দিচ্ছেন। ফিকশনে ‘মিথ্যা’ বলার গুরুত্ব, তার প্রথম দিককার বইগুলাকে তার একটা বিশেষ ‘পলিটিকাল’ ফেইজের প্রোডাক্ট হিসাবে দেখা, ফিকশন-ননফিকশন ক্যাটাগরিগুলার সাথে তার সম্পর্ক, নভেলকে জনরা হিসাবে কিভাবে দেখেন, তার কোন কোন নভেলে ফরমাল ইনোভেশন আছে, কোনগুলা ফর্মের দিক দিয়া পিউর, ড্রয়িং কিভাবে তার রাইটিংকে সাপ্লিমেন্ট করে, প্রোজ কবিতা ও ড্রয়িং কিভাবে তার লেখায় সম-অধিকার পায় বা আদও পায় কী না, যে মিশ্র সময়কালকে উনি Vergegenkunft বলেন তা কিভাবে নতুন পার্সপেক্টিভ তৈরি করতেছে, এনথ্রোপসেন্ট্রিক ন্যারেটিভ থেকে বের হয়ে বইয়ের কেন্দ্রে প্রানীদের রাখা, কিংবা কোন জার্মান ট্র্যাডিশন ও অন্যান্য লিটারেরি সোর্স গ্রাসকে আকৃতি দিছে ইত্যাদি সব কিছুই এ ধরণের এস্থেটিক কনসার্নের বিষয়বস্তু। আল্টিমেটলি ইন্টারপ্রিটেশনের গুরুত্বটা এখানে সবার উপরে থাকতেছে টেক্সটের উপর। Continue reading

বাংলা প্রচলিত হবে যে সময় শিক্ষকরা প্রথম প্রথম একটু ইনকমপিটেনটলি (incompetently) কিন্তু পারসিসটেনটলি (persistently) বাংলায় বলা অভ্যাস করবেন (১৯৮৫) – আবদুর রাজ্জাক

This entry is part 18 of 22 in the series লেখার ভাষা

[বাংলা একাডেমি’র ‘ভাষা, শ্রেণি ও সমাজ’ নামে একটা সেমিনারে প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক ১৯৮৫ সালে এই কথাগুলা বলছিলেন। পরে ‘জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাক স্মারক গ্রন্থ’ বইয়ে এইটা ছাপানো হইছে। তো, যে কোন ওরাল বলা-বাংলা যখন রিটেন ফরমেটে আসে তখন এক ধরনের ‘শুদ্ধিকরন’ বা ‘প্রমিতকর’ ঘটে নরমালি, যেহেতু নানান সো‍র্স থিকা আমরা জানি যে আবদুর রাজ্জাক সাহেবের মুখের কথা এতোটা ‘শুদ্ধ’ আছিল না, এইখানেও এই জিনিস ঘটার কথা বইলা সনদেহ করতে পারি আমরা…]

সভাপতি সাহেব এবং বন্ধুবর্গ,

আমাকে বসে বলার অনুমতি দেওয়ায় আমি নিতান্ত অনুগৃহীত। প্রধান অতিথি করার জন্য নয়, প্রধান অতিথি করা তো এখন রেওয়াজ হয়ে গেছে, কী কারণে করা হয় জানি না। ভাষা, শ্রেণি এবং সমাজ কোনোটা সম্বন্ধেই আমার এমন কিছু বলার নেই যা সভা করে বলা প্রয়োজন। দুটো-একটা নিতান্ত সাধারণ কথা ছাড়া আর কিছুই বলা সম্ভব নয় আমার পক্ষে।

ভাষা সবচেয়ে পুরনো, সাহিত্য কিংবা ব্যাকরণের সঙ্গে তুলনা করলে। দ্বিতীয়ত, ভাষা একেবারেই সর্বজনীন, ক্ষুদ্রতম মানুষও এই ভাষার পরিপুষ্টিতে অংশীদার। সাহিত্য, ব্যাকরণ তো নয়ই, দুটোর একটাও এই ধরনের কিছু না। সাহিত্য সব সময়ই, একেবারে আরম্ভের যুগে, পুরোহিতদের কাজ ছিল এবং পরেও নিতান্তই মুষ্টিমেয় লোকের হাতে গড়ে উঠেছে, লোকসাহিত্যের কথা স্মরণ রাখলেও। এই যে মুষ্টিমেয় লোকসংখ্যা, যাঁরা সাহিত্য কিংবা ব্যাকরণ রচনা করেছেন এঁদের প্রথম কন্ডিশন ছিল কিছু পরিশ্রম না করে জীবনধারণের ক্ষমতা থাকা অর্থাৎ বদরুদ্দীন উমর কিংবা মার্কসিস্টরা যাকে বলবেন এক্সপ্লয়টিং ক্লাস। মার্কস কিংবা লেনিন প্রোলেটারিয়েট ছিলেন না। কিন্তু তাঁদের অবদান প্রোলেটারিয়েট মুভমেন্টে অবিসংবাদিত। সাহিত্যেও অনেক সাহিত্যিক জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁরা সমস্ত মানুষের কথাই বলেছেন। কিন্তু সব সময়ই তাঁরা একটা ছোট শ্রেণি থেকে এসেছেন।

ভাষা সম্বন্ধে কৌতূহল, সাহিত্য অনেক পরে আসা সত্ত্বেও, সাহিত্য সম্বন্ধে কৌতূহলের অনেক পরে এসেছে দেড়শো দুশো বছর হবে। অনেক আগে গ্রিক আমলে হয়তো সামান্য কিছু লেখাপড়া হয়েছে ভাষা সম্বন্ধে, সংস্কৃতেও কিছু হয়েছে। কিন্তু মোটের ওপর গত দেড় হাজার বছর পর্যন্ত সাহিত্য সম্বন্ধে যতটা কৌতূহল দেখা গেছে ভাষা সম্বন্ধে তার একশ ভাগের এক ভাগও হয়নি। এখনো আমরা ভাষা সম্বন্ধে যা জানি তা খুব বেশি কিছু না। ভাষা কীভাবে উদ্ভূত হয়, ভাষা কীভাবে বর্ধিত হয় কিংবা ভাষার অন্যান্য বিশিষ্টতা এ সম্বন্ধে একেবারেই প্রাথমিক যুগে। কিন্তু ভাষা সম্বন্ধে কৌতূহলের দুটো যে দিক, পণ্ডিতি কৌতূহল – যেগুলো ব্যাকরণবিদ কিংবা সুনীতিবাবু কিংবা ড. শহীদুল্লাহ্ কিংবা চমস্কিদের। এছাড়াও আরেকটা কৌতূহলের কারণ আছে – সেটা আমি শিক্ষা-বিভাগের সঙ্গে জড়িত থাকায় আমার কৌতূহলটি। পঞ্চাশ বছর শিক্ষকতার ফল-জ্ঞানে এই একটিমাত্র নিশ্চিত যে, মাতৃভাষার মাধ্যম ছাড়া শিক্ষা-ব্যবস্থা কখনোই পূর্ণ হতে পারে না, বিশেষত আমাদের দেশে।

আমাদের দেশে সাধারণত ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য চৌদ্দ, পনের, ষোল অথবা বছর কুড়ি নিই। দুনিয়ার কোনো দেশে বিদেশি ভাষা শেখার জন্য এবং এইরকম ইনকমপ্লিটেন্ট নলেজ একোয়ার করার জন্য এত সময় দেওয়া হয় না। পনের বা বিশ বছর পরেও যে ইংরেজি আমাদের শেখা হয় যেসব দেশে ইংরেজিতে কথাবার্তা বলে সেসব দেশে গেলে বোঝা যায় যে এই শেখাটা কত অসম্পূর্ণ। এই অসম্পূর্ণ জ্ঞানের ভিত্তিতে শিক্ষক এবং ছাত্র মিলে যে অবস্থার সৃষ্টি করেন এটা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উল্লেখ্য নয়। শুধু এইমাত্র কারণে আমি মনে করি যে, বাংলা ভাষা ছাড়া, মাতৃভাষা ছাড়া, শিক্ষার বাহন আর কিছুই হতে পারে না। Continue reading

ভাষার ক্ষেত্রে গোঁড়ামি বা ছুৎমার্গের কোন স্থান নেই – মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্

[৩১/১২/১৯৪৮ সালে পূব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলন, ঢাকা অধিবেশনে মূল সভাপতির ভাষনের সিলেক্টেড অংশ।]

স্বাধীন পূর্ব বাংলার স্বাধীন নাগরিক রূপে আজ আমাদের প্রয়োজন হয়েছে সর্ব শাখায় সুসমৃদ্ধ এক সাহিত্য। এই সাহিত্যে আমরা আজাদ পাক-নাগরিক গঠনের উপযুক্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ের অনুশীলন চাই। এই সাহিত্য হবে আমাদের মাতৃভাষা বাংলায়। পৃথিবীর কোন জাতি জাতীয় সাহিতা ছেড়ে বিদেশী ভাষায় সাহিত্য রচনা ক’রে যশস্বী হতে পারে নি। ইসলামের ইতিহাসের একেবারে গোড়ার দিকেই পারস্য আরব কর্ত্তৃক বিজিত হয়েছিল, পারস্য আরবের ধর্ম্ম নিয়েছিল, আরবী সাহিত্যেরও চর্চা ক’রেছিল। কিন্তু তাঁর নিজের সাহিত্য ছাড়ে নি। তাই রুদাগী, ফিরদৌসী, নিযামী, সাদী, হাবিব, উর্ফি, খাকানী, বুআলী সীনা, গাযালী, খ’য়্যাম প্রমুখ কবি, ভাবুক, সুফী ও দার্শনিক লেখকগণের রচনায় পারস্য সাহিতা গৌরব-সমুজ্জ্বল। বাংলা সাহিত্যের চর্চ্চা আমাদের মধ্যে আজ নুতন নয়। বাংলা দেশ যখন দিল্লীর অধীনতা-নিগড় থেকে মুক্ত হয়ে গৌড়ে এক স্বাধীন সুলতানত প্রতিষ্ঠা করে, তখন থেকেই বাংলা সাহিত্য সৃষ্টির দিকে রাজার মনোযোগ পড়ে। ইউসুফ শাহ, হোসেন শাহ, নসরত শাহ্, ফীরোয শাহ, নিযাম শাহ শুর, ছুটীখাঁ, পরাগল খাঁ প্রভৃতি রাজা ও রাজপুরুষগণ বাংলা সাহিত্যের উৎসাহদাতা ছিলেন। হিন্দু কবিবা মুক্তকণ্ঠে তাঁদের যশ কীর্ত্তন ক’রে গেছেন। কৃত্তিবাসের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এক গৌড়েশ্বর। তাঁর প্রশংসায় কবি বলেছেন-

“পঞ্চ গৌড় চাপিয়া গৌড়েশ্বর রাজা।
গৌড়েশ্বর পুজা কৈলে গুণের হয় পূজা।”

এই গৌড়েশ্বর খুব সম্ভবতঃ রাজা গণেশ নন। কিন্তু তাঁর পুত্র ও উত্তরাধিকারী জালালুদ্দীন মুহম্মদ শাহ্‌। রাজা গণেশের রাজত্বকাল অল্প এবং অশান্তিপূর্ণ ছিল। আমরা তাকে সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকরূপে কোথাও দেখি না। অন্যপক্ষে জালালুদ্দীন মুহম্মদ শাহ্‌, দীর্ঘকাল শান্তিতে রাজত্ব করেন (১৪১৯-১৪৩১ খ্রীঃ)। তিনি ভরত মল্লিককে নানা উপহার সহ বৃহস্পতি ও রায়মুকুট এই দুই উপাধি দিয়েছিলেন। কৃত্তিবাস স্বধৰ্ম্মত্যাগী ব’লে বোধ হয় এই গৌড়েশ্বরের নাম উল্লেখ করেন নি।

কবীন্দ্র পরমেশ্বর সুলতান খালাউদ্দীন হোসেন শাহের প্রশংসায় বলেছেন-

“কলিযুগ অবতার গুণের আধার
পৃথিবী ভরিয়া যার যশের বিস্তার।
সুলতান আলাউদ্দিন প্রভু গৌড়েশ্বর
এ তিন ভুবনে যাঁর যশের প্রসার।”

শ্রীকর নন্দী নসরত শাহের প্রশংসায় বলেছেন-

“নসরত শাহ, নামে তথি অধিরাজ।
রাম সম প্রজ্য পালে করে রাজ-কাজ।”

কবি শেখর এই নসরত শাহের প্রশংসায় বলেছেন-

“কবিশেখর ভণ অপরূপ রূপ দেখি
রায় নসরত শাহ, ভঙ্গলি কমলমুখী।”

(মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান হিন্দু অপেক্ষা কম নয়।) পল্লীগীতিকায় মুসলমানের দান অতি মহৎ। কলিকাতা বিশ্ববিজ্ঞালয়ের অর্থ-সাহায্যে জেঠসহোদরকল্প পরলোকগত দীনেশচন্দ্র সেনের আগ্রহে ও উৎসাহে যে গাথাগুলি সংগৃহীত হয়েছে, তা ছাড়া আরও বহু পল্লী-কবিতা পূর্ববঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পূর্ববঙ্গের সরকার কি এদিকে মনোযোগ দিবেন? এই পল্লীকাব্য সম্বন্ধে দীনেশবাবু বলেছেন “এই বিরাট সাহিত্যের সূচনা আমি যেদিন পাইয়াছিলাম, সেদিন আমার জীবনের এক স্মরণীয় দিন। আমি সেদিন দেশ-মাতৃকার মোহিনীমূর্ত্তি দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছিলাম, আমাদের বাংলা ভাষার শক্তি ও প্রসার দেখিয়া বিস্মিত হইয়াছিলাম এবং হিন্দু ও মুসলমানের যে যুগলরূপ দেখিয়াছিলাম – তাহাতে চক্ষু জুড়াইয়া গিয়াছিল।” এ পর্যন্ত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যলয় ৪৫টি পল্লীগাথা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ২৩টি মুসলমান কবির রচিত। Continue reading

দুর্বল কোনো লোকের স্থান বাংলাদেশে বোধহয় এখন থেকে আর নাই – মুহাম্মদ আসাফ-উদ-দৌলা (২০১১)

[সম্ভবত ২০১১/২০১৩ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা প্রেসক্লাবে ‘সাংস্কৃতিক ঐক্য ফ্রন্ট’-এর কোন পোগরামে মুহাম্মদ আসাফ-উদ-দৌলা এই কথাগুলা বলছিলেন। সাল’টা কোন সোর্স থিকা কনফার্ম করতে পারি নাই আমরা। ইউটিউবে উনার ভাষণের ভিডিও’টা এখনো এভেইলেবল। বাছবিচারের জন্য এই ট্রান্সক্রিপ্টটা করে দিছেন হুসাইন হানিফ।]

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

শ্রদ্ধেয় সভাপতি, আমি খুব কম জায়গায় আজকাল যাই। এবং কে সভাপতিত্ব করবেন এইসব না জেনে আমি কোথাও যাই না আজকাল। আমার ছোট ভাইয়ের মতো মাহমুদুর রহমান সভাপতিত্ব করবে জেনে আমি এসেছি। কেননা সম্প্রতি বিগত এক বছর আমি তাকে একজন সাহসী সৈনিকের ভূমিকায় দেখেছি। দুর্বল কোনো লোকের স্থান বাংলাদেশে বোধহয় এখন থেকে আর নাই।

আমি ১৯৪৭ সালে ফিরতে চাই। ’৪৭ সালের, আমার তারিখ মনে নাই, সেপ্টেম্বর মাস, সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং কমিটি মিটিং অফ ইনডিয়ান নেশনাল কংগ্রেস, প্রিসাইডেড ওভার বাই জওহরলাল নেহেরু, বোম্বে। তার মধ্যে একটি লাইন এই লাইনটি আপনারা অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন, তার মধ্যে একজন প্রশ্ন করেছিলেন, এই যে পাকিস্তান হয়ে গেলো ইস্ট পাকিস্তান ওয়েস্ট পাকিস্তান, আমাদের এই ভারতমাতাকে ভেঙে ভাগ করা হলো কিভাবে এই জিনিস আমরা আমাদের ন্যাশনাল সাইকিতে এডজাস্ট করব?

তখন একটা রেজুলেশন এডাপ্ট করা হলো, এই রেজুলেশনটার ওয়ার্ডিং রান লাইক দিস – “উই হিয়ার বাই ডিসাইড টু একসেপট দা প্রেজেন্ট পার্টিশন ফর দা টাইম বিইং”; এই “ফর দা টাইম বিইং” শব্দটি আমি কোনো রাজনীতিবিদ কিংবা সাংসদের মুখে ৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই সেনটেন্সটি দ্বিতীয়বার উক্তি করে মানুষকে জানিয়ে দেওয়া, এটা শুনি নি। এবং সেই লক্ষ্যে বিজেপিই থাকুক ক্ষমতায় কিংবা কংগ্রেসই থাকুক ক্ষমতায় আর ইন্ডিয়ার কম্যুনিস্ট পার্টির ক্ষমতায় থাকাও সেটা কোনো মুসলমানের জন্য কোনো সুসংবাদ না। কেননা আমি মনে করি কেননা আমি তাদের সময় বেড়ে উঠেছি, এখানে আমরা যারা উপস্থিত আছি, ডেফিনেটলি সাদেক ভাই, আমার চাইতেও বেশি একটু দেখেছেন; আমরা জানি আমরা কাদের সাথে লেখাপড়া করেছি, কাদের সাথে থেকেছি, কারা আমাদের প্রতিবেশি ছিল, সুতরাং ফর দা টাইম বিইং এর উপরে ভর করে একটা পরিকল্পনা, তাদের অনেক বুদ্ধি তাদের অনেক ধৈর্য, এবং তারা আমাদের মত এই পিয়াজ খাওয়া এই অস্থির জাতি দুদিন পাঁচ দিনের প্ল্যান করে তিন মাসের প্ল্যান করে তারপর আর মুসলমানের কিছু মনে থাকে না। গরম জাতি নাকি খুব। আমাকে আমার অংকের মাস্টার প্রফুল্ল বাবু বলতেন, অংক কী করবি তুই তো ১০০ পাবি না, ওই ৯৮ ৯৯ ই পাবি, তার কারণ তোরা গরুর গোশত খাস আর পিয়াজ আর রসুন খাস, তোরা হল গরম। তো গরম হলে নাকি গণিত হয় না। এইটা প্রমাণ করার জন্যই ২০০ তে ২০০ পেয়েছিলাম আমার প্রবেশিকা পরীক্ষায়। তো যাই হোক, এইভাবে মানুষ হয়েছি, এবং ক্লাসে প্রথম হয়ে কোনোদিন আমার রোল নাম্বার ১ হয় নাই। আমার রোল নাম্বার টু। আমি জীবনে প্রথম রোল নাম্বার ১ হযেছি ১৯৪৮ সালে। এবং আমার সাথে যে দ্বিতীয় হতো সে ইন্ডিয়ার ১৯৫৮ ব্যাচের অল ইন্ডিয়া আইএসে প্রথম। তার নাম তুষার কান্তি ঘোষ। ওয়েস্ট বেঙ্গলে চীফ সেক্রেটারি ছিল। তো, হি ইউজড টু হেভ রোল নাম্বার ১ এন্ড আই হেড রোল নাম্বার টু। এইভাবে আমার ১৯৪৩ ১৯৪৮ পর্যন্ত কেটেছে জিলা স্কুলে।

আমাদের সকলে যদি একটি জিনিস মনে রাখি সেই লক্ষ্যে একটি কাজ হচ্ছে, অবিরত ভাবে অবিরামভাবে ১৯৭১ ছিল তার একটি স্টেপ। এটা যদি বাংলাদেশের মানুষের প্রতিকৃতি হয়… আজকে আমি কয়েকটা কথা বলব যা আপনারা রেকর্ড করবেন, আমার বয়স যা হয়েছে, আর সময় টময় নেই, লিখে যেতে পারব না। যেগুলি আপনারা লিখবেন, কারণ আমি মিথ্যাচারণ করি না, আমি মিথ্যা কথা বলি না, আল্লাহ আমার সাক্ষী। সেই হিসাবেই আমি কয়েকটা কথা বলতে চাই। Continue reading

ইব্রাকর ঝিল্লীর ১২খান বাংলা কবিতা (বানান ইগনোর কইরেন পিলিজ)

সন্ধাতারা

অপরদিন একটা কথা কানের ভেতর ঢুকে গেছিলো।
সন্ধা নামার পরে কোমল হাওয়ায় ভেসে আসছিলো।
‘এখানে দাড়ায়ে তুমি যা ভাবো
তা অনেক আগেই ডুবে গেছে।’
স্নেহের গোপন তারায় সকল অস্তিত্বের ভার।
‘সামথিং ইজ রঙ ইন ইওর স্টার।’
তবু দাড়ায়ে থাকি কিছু একটা ঘটবে বইলা
সকল ভাগ্য ব্যর্থ কইরা।
‘ঘটবে না। তুমি বরং শুইয়া পড়ো।
নদিতে আচর কাটার ফাদে পইরো না!’
দেহ থেকে খসে পরতেছে নরম চাদর।
দূরে দুইটা তিমি মাছ, আপন ভাইবোন,
একটা আরেকটার সাথে অনর্গল ক্লিক আদানপ্রদান করতেছে।
‘এই নদিতে আমরা সবাই তিমি;
প্রকৃত মাছ নই।
উৎসাহহীন শাশ নিতে দিতে হবে লাফ।’
ভুলে গেছি নিজের সহজ ভাশা।
একজন পাশে বসে জানাইলো—
বুঝেনাই আমার কথা।
আমার চোখ তুইলা উপরে তাকানো,
রেলিঙে হেলান দিয়া বসা,
কাইত হইয়া শুইয়া থাকা,
খুব ধিরে ও জোরে শাশ গ্রহণ ও বর্জন করা,
এগুলা সবই কথা।
‘বুঝিনাই তোমার কথা।
তুমি এইরকম গাছের মত কথা বলো কেন?
কি হইছে তোমার বাল!’
কিছুই যে হচ্ছে না কখনো
সন্ধার নরোম হাওয়ায় সেই আফসোস হয় আমার।

 

সাইরেন কোথা হতে আসে

এক দূর হইতে যে এম্বুলেন্স আসে
আর আমারে রাইখাই চইলা যায় অন্য দূরে
আমি সেই এম্বুলেন্সের সাইরেন
মুখুস্ত করি বসে বসে।

দুইটা দূরের মনে আমি একটা ব্যথার উপমা হইয়া
বাসেদের গান শুনি।

প্রতিদিন একটা বিছানো কার্পেট গুটায়ে নেয়ার মত
রাস্তা শেষ করে ঘরে ফিরি।
আমার নিরবতার ঘরে একলা
সিজোফ্রেনিক সাইরেন চর্চা করি।

 

সন্ধা বেলার সন্ধা

বহু দিন আগে একটা মৃত সন্তানের পেট থেকে বের হইলো একটি মা।
সেই মা দুপুর বেলার দুপুর, সন্ধা বেলার সন্ধা।

কেন মানুশের আনন্দ হয়?
কেন মানুশ উৎফুল্ল?
মানুশের ছানারা এই সব প্রশ্ন শুইনা সিক ফিল করে।
মানুশের মায়েরা তাদের মাথায় পানি ঢাইলা দেয়।
সন্ধার আলোরা ঘটা কইরা বিদায় নেয়।
ক্রোম কালারের উঠানে মহাজগৎ জাইগা ওঠে।
কখন যে গ্রাস করে রাত্রি বেলার রাত্রি!
পালা কইরা পাহারা দেয় সবুজ পিতৃতন্ত্র।

গাছেদের আলাদা মন আছে।
তারা সেইটা লুকায় রাখে তাদের নুতনতম পাতায়।
যদি শুক্কুরবারের আগে কোন মিরাকল ঘটে
তাইলে মায়ের সাথেই মরা হবে বেকুল সন্তানের।
যে কোন একাকি শিশু,
সহমরণ পাইতে যিনি ব্যর্থ হলেন মাতৃ মরণে,
ফি বছর গাছের কোলে মরণ হবে চারা গাছের,
ঘাসের কোলে মরণ হবে ফড়িং মায়ের।
গাছের নুতনতম পাতায়-
হেডলাইনে লেখা হবে নুতনতম মৃত্যু। ফি বছর।

Continue reading

এডিটর, বাছবিচার।
View Posts →
কবি, গল্প-লেখক, ক্রিটিক এবং অনুবাদক। জন্ম, ঊনিশো পচাত্তরে। থাকেন ঢাকায়, বাংলাদেশে।
View Posts →
কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।
View Posts →
মাহীন হক: কলেজপড়ুয়া, মিরপুরনিবাসী, অনুবাদক, লেখক। ভালোলাগে: মিউজিক, হিউমর, আর অক্ষর।
View Posts →
দর্শন নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা, চাকরি সংবাদপত্রের ডেস্কে। প্রকাশিত বই ‘উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে’ ও ‘এই সব গল্প থাকবে না’। বাংলাদেশি সিনেমার তথ্যভাণ্ডার ‘বাংলা মুভি ডেটাবেজ- বিএমডিবি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। ভালো লাগে ভ্রমণ, বই, সিনেমা ও চুপচাপ থাকতে। ব্যক্তিগত ব্লগ ‘ইচ্ছেশূন্য মানুষ’। https://wahedsujan.com/
View Posts →
কবি। লেখক। কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। রাজনীতি এবং বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী।
View Posts →
গল্পকার। অনুবাদক।আপাতত অর্থনীতির ছাত্র। ঢাবিতে। টিউশনি কইরা খাই।
View Posts →
জন্ম ২০ ডিসেম্বরে, শীতকালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেছেন। রোমান্টিক ও হরর জনরার ইপাব পড়তে এবং মিম বানাইতে পছন্দ করেন। বড় মিনি, পাপোশ মিনি, ব্লুজ— এই তিন বিড়ালের মা।
View Posts →
জন্ম ১০ নভেম্বর, ১৯৯৮। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, সেখানেই পড়াশোনা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখালেখি করেন বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিলোসফি, পলিটিক্স, পপ-কালচারেই সাধারণত মনোযোগ দেখা যায়।
View Posts →
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। সংঘাত-সহিংসতা-অসাম্যময় জনসমাজে মিডিয়া, ধর্ম, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রের বহুমুখি সক্রিয়তার মানে বুঝতে কাজ করেন। বহুমত ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীল গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের বাসনা থেকে বিশেষত লেখেন ও অনুবাদ করেন। বর্তমানে সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটায় (সিএসএসসি) পিএইচডি গবেষণা করছেন। যোগাযোগ নামের একটি পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করেন ফাহমিদুল হকের সাথে। অনূদিত গ্রন্থ: মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা (২০০৬), নোম চমস্কি ও এডওয়ার্ড এস হারম্যানের সম্মতি উৎপাদন: গণমাধম্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি (২০০৮)। ফাহমিদুল হকের সাথে যৌথসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি (২০১৩) গ্রন্থটি।
View Posts →
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, তবে কোন বিষয়েই অরুচি নাই।
View Posts →
পড়ালেখাঃ রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্স, মাস্টার্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সংসার সামলাই।
View Posts →
মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জন্ম ১৯৮৯ সালে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। লেখেন কবিতা ও গল্প। থাকছেন চট্টগ্রামে।
View Posts →
জন্ম: টাঙ্গাইল, পড়াশোনা করেন, টিউশনি করেন, থাকেন চিটাগাংয়ে।
View Posts →
বিনোদিনী দাসী (১৮৬২/৩ - ১৯৪১): থিয়েটার অভিনেত্রী, রাইটার। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৬ এই ১২ বছর তিনি কলকাতার বিভিন্ন থিয়েটারে অভিনয় করেন। কবিতার বই – বাসনা এবং কনক ও নলিনী। আত্মজীবনী - ‘আমার কথা’ (১৯২০)।
View Posts →